এসএম মশিউর রহমান সরকার, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুর রহমানের কন্যা মোছাঃ রত্না আক্তারের ছবি তুলে করোনা ভাইরাসের আগাম মিথ্যাচারের ফেসবুকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সাংবাদিক ও তার কন্যার মানসম্মান হানী হওয়া সহ অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মর্মে পীরগঞ্জ থানা ওসি বরাবরে একটি এজাহার দরখাস্ত মূলে দায়ের করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত ১৪ এপ্রিল তারিখে উক্ত সাংবাদিকের কন্যা মোছাঃ রত্না আক্তার ঢাকা থেকে বাড়ি আসে।
এদিকে আতঙ্কে থাকা মহতী কতক ব্যক্তি উক্ত কন্যাকে ১৪দিন ধরে বাড়িতে থাকার জন্য পরামর্শ দেন। এভাবে ৩ দিন বাড়িতে কন্যাটি অবস্থান করলেও নিকটবর্তী ঈর্ষা পরায়ণ ব্যক্তি প্ররোচনা ও করোনা ভাইরাসের গুজব ছাড়িয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে গত ১৬ এপ্রিল তারিখে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি এম্বুলেন্স করে ল্যাব টেকনেশিয়ান কোভিড-১৯ উক্ত মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ঠিক ওই সময় ওতপেতে থাকা ষড়যন্ত্রকারী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব কন্যার ছবি তুলে ও প্রবীণ সাংবাদিকের নামে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুকে ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাস মিথ্যা আগাম খবর ভাইরাল করে। ঐ দিনে সাংবাদিক আব্দুর রহমান বাড়িতে ছিলেন না,সাংবাদিক তার কাজে বাহিরে ছিলেন।
এতে করে উক্ত সাংবাদিক ও তার কন্যার পরিবারের মানসম্মান হানী হয়েছে, সেই সাথে অপূরণীয় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২০ এপ্রিল তারিখে রংপুর মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরি থেকে উক্ত কন্যার নেগেটিভ ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। কন্যা রত্না আক্তার কোভিড-১৯, ৭৩নং সিরিয়ালে, ১৪৫৭নং করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে উত্তির্ণ হয়েছে।
এ ব্যাপরে গত ২৩/০৪/২০২০ইং তারিখে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে দরখাস্ত মূলে এজাহার দাখিল করেন সাংবাদিক মোঃ আব্দুর রহমান।
কিন্তু,সাংবাদিক মোঃআব্দুর রহমান ফেসবুকে তার কন্যার নামে মিথ্যা অপপ্রচারের জন্য দ্রুত আইন গত ব্যবস্থার দাবী নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় এজাহর করে শাস্তির দাবি করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুর রহমান জরুরি আইগত পদক্ষেপ নিতে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জের হস্ত ক্ষেপ কামনা করছেন এবং ব্যাপারে বাদী আব্দুর রহমান (সাংবাদিক) উক্ত ফেসবুককারী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে দৃষ্টন্তমূলক আইনী শাস্তি বিধানে সদাসয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আশু পদক্ষেপে সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।